নবজন্ম
–প্রদীপ শর্ম্মা সরকার
বিলাসী দুঃখ সামলাতে গিয়ে সন্তপ্ত হয় জীবন–
পরন্তপ উগ্রতায়, শয্যা কাঁটায় ভ’রে যায়
প্রেমহীন শূন্যতায় মরুদ্যানের খোঁজ পড়ে যখন–
কাঁটাপথ যাত্রাই সার হয়,
আগুনের পরিখা পথরোধ করে।
একদিন লগ্নি করা সব সুখ
ফিরে আসবে সুদে আসলে–
না পাওয়াটাই যখন ভবিতব্য মনে হয়
ঠিক তখনই একটা অঙ্কুরকে হাসতে দেখি–
সেই মুহূর্তে গান হয়ে ওঠে বিষাদের দীর্ঘশ্বাস।
বিধিবদ্ধ যৌনতার মাঝপথে পৌরুষ শিথিল হয়,
স্তনবৃন্তে ক্ষোভের কামড়
পচনশীল প্রেমের সংকেত হয়ে প্রতিভাত হয়।
রাগ স্খলনের লাভাস্রোত ঊরুসন্ধিতে বিতৃষ্ণার পুষ্করিণীর জন্ম দেয়।
এমন সময়ে হাজার জন্মের সুখ-সঙ্গত- শপথ
কক্ষপথের গ্রহণ কাটিয়ে ওঠে–
বৈশ্বানর তেজষ্ক্রিয়তা হারায়–
অচলায়তন ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মত,
গৃহকোণের আদর উন্মুখ হয়
সৃষ্টির ডালি সাজাতে ;
অজ্ঞাতবাস থেকে ফিরে আসে প্রেম,
না-বলা কথারা ফুল হয়ে ঝরে পড়ে
জীবনের পুষ্পপাত্রে।
এখন ঝর্ণা লাফ দিয়ে নদী হয়,
মেঘ বিনা গর্জনে বৃষ্টি হয়,
আকাশ তারার চুমকিতে সেজে ওঠে,
সাগরের জল গভীর গোপন আত্মকথায় উদ্বেল হয়–
প্রেমের নতুন নামকরণ হয় সুহাসিনী।